Logo
×

বিশ্ব

হাসিনা ভারতে কতদিন থাকবেন সিদ্ধান্ত তার: জয়শঙ্কর

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১:৩৪

হাসিনা ভারতে কতদিন থাকবেন সিদ্ধান্ত তার: জয়শঙ্কর

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশটিতে কতদিন অবস্থান করবেন, সেটা সম্পূর্ণই তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর।

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে এইচটি লিডারশিপ সামিটে এনডিটিভির সিইও ও সম্পাদক-প্রধান রাহুল কানওয়ালের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। খবর এনডিটিভির।


জয়শঙ্করকে প্রশ্ন করা হয়—শেখ হাসিনা কি যতদিন চাইবেন ভারতে থাকতে পারবেন—জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, ‘তিনি একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে এখানে এসেছেন, এবং সেই পরিস্থিতিই তার ভবিষ্যতে কী হবে সেটির ওপর প্রভাব ফেলবে। তবে এটি শেষ পর্যন্ত তার নিজের সিদ্ধান্ত।’ গত বছরের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর জনরোষ থেকে বাঁচতে শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। ওই অভ্যুত্থানে প্রায় ১৪শ’ ছাত্র-জনতা হত্যাকাণ্ডের শিকার হন বলে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। প্রতিবেদন অনুসারে, সেই সময়কার হত্যাকাণ্ড সমন্বয়ের ভূমিকা ছিলেন শেখ হাসিনা।

জুলাই অভ্যুত্থানকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ১৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। এই দণ্ড ঘোষণার আগেই পলাতক শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য দিল্লিকে চিঠি দিয়েছে ঢাকা। রায় ঘোষণার পরও আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হয়েছে। গত শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রংপুরে এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানান, হাসিনাকে প্রত্যর্পণের বিষয়ে এখনো ভারতের কোনো ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। তবে বিষয়টি তারা যাচাই-বাচাই করছে।

ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, প্রতিবেশী দেশে ‘বিশ্বাসযোগ্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার’ প্রয়োজনীয়তার ওপর ভারত জোর দিয়ে আসছে। শেখ হাসিনার শাসনামলে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনকেই ভারত বিনা প্রশ্নে সমর্থন দিয়েছে। যতবারই এসব নির্বাচন নিয়ে আলাপ উঠেছে, ভারতের কর্তাব্যক্তিরা বিষয়টিকে ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যু’ বলে এড়িয়ে গেছেন। তবে এবার সে অবস্থান থেকে উল্টে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, ‘আমরা শুনেছি, যারা এখন ক্ষমতায়, তারা অতীতের নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। যদি ইস্যুটি নির্বাচন হয়, তবে প্রথম কাজ হবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা।’

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের জায়গা থেকে আমরা বাংলাদেশকে শুভকামনা জানাই। আমরা একটি গণতান্ত্রিক দেশ, এবং গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে প্রতিবেশীর জনগণের ইচ্ছা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রতিফলিত হোক—এটাই স্বাভাবিক প্রত্যাশা।’ তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া যাই ফল দিক না কেন, তা পরিণত ও ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ করে দেবে বলে আমি আত্মবিশ্বাসী।’