খালেদা জিয়ার জানাজা-দাফন হবে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায়
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০:২১
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার সচিব শফিকুল আলম। একই সঙ্গে জানাজায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অংশ নেবেন। এছাড়া সরকারের উপদেষ্টা এবং বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা অংশ নেবেন।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত 'খালেদা জিয়ার জানাজা, দাফন ও আইন-শৃঙ্খলা সমন্বয় নিয়ে বৈঠক' শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। প্রেস সচিব বলেন, কালকে বেগম খালেদা জিয়ার দাফন এবং জানাজা এবং এ পুরো প্রস্তুতি কীভাবে নেওয়া হবে, এ বিষয়ে একটি সামগ্রিক আলোচনা করা হয়েছে। এবং এখানে মূল জোর দেওয়া হয়েছে যে পার্টির সঙ্গে পুরোটা সমন্বয় করে সমস্ত কাজগুলো সম্পন্ন করা হবে।
সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, 'জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ওনার (খালেদা জিয়া) জানাজা হবে। ওনার লাশ সকালেই এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে জাতীয় সংসদ ভবনে নিয়ে আসা হবে। এ নিয়ে আসার সময় পুরো রাস্তার দুই পাশেই একটা স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যারেঞ্জমেন্ট এনসিওর করা হবে। আমরা অ্যাট দ্য সেইম টাইম জানিয়ে দিব- কখন এ লাশবাহী গাড়ি কখন রওনা দেবে। এটাকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় অনারে ওনাকে নিয়ে আসা হবে দক্ষিণ প্লাজায়, জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়। সেখানে জানাজা হবে। প্রেস সচিব বলেন, এভারকেয়ার থেকে ওনার লাশবাহী গাড়ি সংসদে ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আসা পর্যন্ত দাফন এবং জানাজা সবকিছু পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠিত হবে। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায়। শফিকুল আলম বলেন, আপনি জানেন উনি আপসহীন নেত্রী ছিলেন। বাংলাদেশ বারবার গণতন্ত্র হারিয়েছিল। উনি প্রতিবারই ওনার বলিষ্ঠ ভূমিকায় ওনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আমরা গণতন্ত্র ফিরে পেয়েছি।
উনি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। উনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী ছিলেন এবং ওনার ৪৫ বছরের প্রায় একটি পাবলিক সার্ভিস আছে। দেশের জন্য উনি যা করেছেন এটা অতুলনীয়। তিনি আরও বলেন, জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা থাকবেন। আর বিএনপির নেতারা থাকবেন, সব অ্যাডভাইজাররা থাকবেন এবং আমরা আশা করছি অনেক ডিপ্লোম্যাট থাকবেন। বেগম জিয়ার জানাজার প্রস্তুতির বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে, সিকিউরিটি এজেন্সির পক্ষ থেকে প্রত্যেকটা বিষয়ে আবার নতুন করে রিভিউ করা হয়। আপনারা জানেন কিছুদিন আগে একটি বড় জানাজা হয়েছে। ফলে পুলিশের এবং সিকিউরিটি এজেন্সিগুলোর নিজেদের মধ্যেই কিছু প্রস্তুতি অলরেডি ছিল, কিন্তু এখন আরও বড় আকারে কীভাবে প্রস্তুতি নেওয়া যায়। তিনি বলেন, আর এ পুরো বিষয়গুলো ওনাদের (বিএনপি) সঙ্গে আমাদের পুরো কো-অর্ডিনেশন হচ্ছে। কো-অর্ডিনেশনের জন্য কমিউনিকেশন মেনটেইন করা হচ্ছে। প্রত্যেকটা অনুষ্ঠান আমরা সুন্দরভাবে সুচারুভাবে করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি এবং এ বিষয়ে তারা আমাদেরকে পার্টির পক্ষ থেকে আমাদেরকে পূর্ণ সহযোগিতা দেওয়া হবে। আমরাও তাদেরকে বলেছি আপনাদের যে ধরনের সহযোগিতা লাগে সেটা সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে।সার্বিক কার্যক্রম ঘিরে কোনো ধরনের নিরাপত্তা শঙ্কা আছে কিনা- জানতে চাইলে শফিকুল আলম বলেন, না, এজন্যই সর্বোচ্চ সিকিউরিটি কালকে ইনশিওর করা হবে। আমাদের ডিএমপি'র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ডিএমপি'র প্রধান বলেছেন যে ১০ হাজারেরও বেশি পুলিশ, এপিবিএন এবং অন্যান্য যারা সিকিউরিটি এজেন্সির অফিসাররা আছেন, তারা থাকবেন। কিছু কিছু জায়গায় সেনাবাহিনীরও পক্ষ থেকে একটা ব্যবস্থাপনা থাকবে।

logo-2-1757314069.png)
