Logo
×

রাজনীতি

অরাজক পরিস্থিতিতে ফেলতে চাচ্ছেন, উদ্দেশ্য কী?

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:১৬

অরাজক পরিস্থিতিতে ফেলতে চাচ্ছেন, উদ্দেশ্য কী?

‌পিআর নি‌য়ে আন্দোলনকারীদের গণতন্ত্রের মধ্যে কথা বলার পরামর্শ দি‌য়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ব‌লে‌ছেন, “দেশকে একটা অরাজক পরিস্থিতিতে ফেলতে চাচ্ছেন, উদ্দেশ্যটা কী? দেশের মধ্যে এক ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা। কিন্তু মনে রাখবেন, এই বাংলাদেশ সেই বাংলাদেশ না। আপনি ইচ্ছা করলেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারবেন না। যেমন আপনারা (আলোচনা সভায়) এখানে বসে নির্বাচনের জন্য সুন্দর ব্যালট বাক্স নিয়ে এসেছেন, আপনাদের নির্বাচন কমিশন আছে, আপনাদের প্রার্থী আছে, সরাসরি ভোট হবে।”

শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর তোপখানা রোডে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যালস রিপ্রেজেন্টেটিভ অ্যাসোসিয়েশনের (ফারিয়া) কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মেলনে তি‌নি এসব কথা ব‌লেন।

জাহিদ বলেন, “খালি দলবাজির জন্য, নিজের অবস্থানকে পাকাপোক্ত করার জন্য এবং জনগণ না চাইলেও জনগণের কথা বলে মতামত দেওয়ার দাবিদার হওয়ার জন্য আজকে এই সমস্ত দাবি তুলছেন তারা সত্যিকার অর্থে-নিজের বিবেককে প্রশ্ন করুন। আমি এ কথা আগে বলি নাই, আমি এই কথা কেনো বলছি? উদ্দেশ্য কী?”

“তাহলে কি আমি স্বৈরাচারকে আসার জন্য একটা রাস্তা করে দিচ্ছি। নির্বাচনকে প্রলম্বিত করার জন্য আমি কোনো চেষ্টা করছি, নির্বাচন যাতে আরো বেশি দূরে থাকে, দেশে যাতে আরো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হয়, দেশে যাতে বিনিয়োগ আরো কম হয়, দেশে যাতে আরো বেকারত্ব বেড়ে যায় আমি কী সেদিকে দেশকে অরাজকতার দিকে নিয়ে যেতে চাচ্ছি… আপনি এই বিষয়গুলো চিন্তা করেছেন?” প্রশ্ন তু‌লেন বিএন‌পির এই জ্যেষ্ঠ‌ নেতা।

যারা পিআর পদ্ধতি চান সেসব রাজনৈতিক দলকে তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে তা সন্নিবেশন করে জনগণের কাছে যাওয়ার আহ্বান জা‌নি‌য়ে জা‌হিদ ব‌লেন, “আমি তাদেরও বলি, আসেন জনগণের কাছে যান। জনগণ যাকে গ্রহণ করে, আপনি আপনার এজেন্ডা নিয়ে যাবেন, আমরা আমাদের এজেন্ডা নিয়ে যাবো। জনগণ কাকে গ্রহণ করবে আমরা সেই এজেন্ডাকে তাকে আমরা স্যালুট করব। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই জনগণের কথা বলে জনগণের মতামতের ওপর আপনার দলীয় এজেন্ডা অথবা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের এজেন্ডা চাপিয়ে দেওয়া যাবে না।”

“আপনারা কী কেউ কখনো শুনেছেন যে ৫ আগস্টের আগে অথবা এই গত ১৬/১৭ বছরে আমরা কেউ সংখ্যানুপাতিক ভোট অর্থাৎ পিআর চাই? আপনারা শুনেন নাই।এই ধরনের বক্তব্য কারো ছিল না। আজকে কেউ কেউ বলেন, বলতে দোষ নেই। কারণ গণতন্ত্রের মধ্যে কথা বলবেন দিস ইজ দি বিউটি অব ডেমোক্রেসি এবং মত প্রকাশের যে ভিন্নতা থাকবে সেটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য এর মধ্যে কোনো সমস্যা নেই,” যোগ ক‌রেন ডা. জা‌হিদ।

হাবিবুর রহমান হাবিবের সভাপতিত্বে ও রাশেদুল ইসলাম চৌধুরী সবুজ ও আরিফুল ইসলাম আরিফের যৌথ সঞ্চালনায় আলোচনা সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন।