Logo
×

রাজনীতি

দ্রুত রায় কার্যকর করতে হবে: আখতার হোসেন

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৬:২৯

দ্রুত রায় কার্যকর করতে হবে: আখতার হোসেন

কেবল শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে নয়, বরং রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়েই শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে বলে মত দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি সরকারের কাছে দ্রুত রায় কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর তৎক্ষণা তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান।

তিনি বলেন, মৃত্যদণ্ডই শেখ হাসিনার জন্য উপযুক্ত বিচার। কেবল এই রায় কার্যকর করার মাধ্যমে শেখ হাসিনার গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ন্যায়বিচার করা সম্ভব হবে। অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে আজকের ঘোষিত রায় সরকারকে কার্যকর করতে হবে। ভারত সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, খুনি শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের প্রতি গণহত্যা চালিয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। তাকে ভারতে আশ্রয় না দিয়ে বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার কাছে সোপর্দ করুন। এতে বিশ্ববাসীর কাছে একটা নজির তৈরি হবে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা কেবল উসকানি দেয়নি। আজকের বিচারের মধ্যে এটা প্রমাণিত হয়েছে, শেখ হাসিনা মানুষকে গুলি করে হত্যা করেছে, ল্যাথাল উইপেন ব্যবহার করেছে, গোটা বাহিনীকে মানুষের বিরুদ্ধে খুন করতে কাজে লাগিয়েছে। মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। এমন নৃশংস খুনি, যার এত এত অপরাধ, তার অল্প অভিযোগই আজকের শাস্তির ঘোষণায় এসেছে। তিনি বলেন, তার বাকি যত অপরাধ আছে, সবগুলো অপরাধের বিচার হবে। একইসাথে এই গণহত্যাকারী শাস্তি নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে পৃথিবীর ইতিহাসে নজির তৈরি হবে। যেন আর কোনো শাসক বা গোষ্ঠী গণহত্যাকারী বা মানবতাবিরোধী হতে না পারে।

এদিকে রায় প্রকাশের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দলটির জৈষ্ঠ্য যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন। ভবিষ্যৎ রাজনীতিবিদ ও সংসদ সদস্যদের জন্য এই রায় ন্যায়বিচারের ঐতিহাসিক মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তিনি বলেন, ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জুলুম অপশাসনের বিরুদ্ধে বিচারিক প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের মানুষের ঐতিহাসিক বিজয়। তারা এই রায়কে সাধুবাদ জানাচ্ছে। হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ ও ২৪ এর অভ্যুত্থানে নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন প্রশ্নাতীতভাবে প্রমাণ হয়েছে। তিনি বলনে, যে রায় আমরা পেয়েছি তা প্রপোরশনেট এবং ন্যায্যবিচার। বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় অবিলম্বে এই রায় কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া উচিত ও ভারত সরকারের উচিত হাসিনাকে এই রায় দেওয়ার কলঙ্ক থেকে মুক্ত হওয়া। এই রায় ভবিষ্যতের জন্য বার্তা যে ক্ষমতার দম্ভ চিরদিন স্থায়ী হয় না।