Logo
×

রাজনীতি

"বলতে চাই না কিন্তু শুনতে হচ্ছে আজকের বিএনপি জিয়াউর রহমানের বিএনপি নয়"

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ১০:০০

যারা জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট চায় না তারা ডাকসু নির্বাচনে ভয় পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

তিনি বলেন, ‘আমরা বলতে চাই না কিন্তু আমাদেরকে শুনতে হয় আজকের বিএনপি সেই জিয়াউর রহমানের বিএনপি নয়।’ জনগণের আস্থাশীল হতে হলে আজকের বিএনপিকে জিয়াউর রহমানের বিএনপি হতে হবে উল্লেখ করে তাহের আরও বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের সময় বিএনপি ছিল বড় দল, আজ সেই জায়গায় অবস্থান করে নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী’।

ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের পরাজিতরা জাকসু, চাকসু, রাকসু নির্বাচন বন্ধে কত শত ষড়যন্ত্র করেছে তা শিক্ষার্থীর পাশাপাশি দেশবাসীও দেখেছে। তারা বুঝতে পারছে জাতীয় নির্বাচনের আগে যদি স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয় তাহলে পরাজয়ের ভরাডুবি খেতে হবে। সেজন্য তারা জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের যেভাবে বিরোধিতা করেছে একইভাবে গণভোটের বিরোধিতা করছে।

তাহের বলেন, ‘সিপাহি-জনতার বিপ্লব আর ছাত্র-জনতার বিপ্লব একই সূত্রে গাঁথা’। সিপাহি-জনতার বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জিয়াউর রহমান নিজের রাজনৈতিক স্বার্থে হলেও জাতীয় ঐক্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। শহীদ জিয়াউর রহমান ও শহীদ গোলাম আজমের জানাজা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জানাজা। এই দুটি জানাজা বলে দেয় তাদের জনপ্রিয়তার পরিধি।

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমরা বলতে চাই না কিন্তু আমাদেরকে শুনতে হয় আজকের বিএনপি সেই জিয়াউর রহমানের বিএনপি নয়। জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা জিয়াউর রহমানের অনুসারীরা তার আদর্শ ভুলে গেছে। যার কারণে তারা এখন গণতন্ত্র চর্চা করে না, মানুষের সেন্টিমেন্ট তারা বুঝতে পারছে না, বুঝতে চেষ্টাও করছে না। তারা সংস্কার চায় না। তাদের দলের স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য যিনি সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর তিনি বলেছেন সংস্কার তারা চায় না। ডা. তাহের বলেন, আপনারা না চাইলেও জনগণ চায়। জনগণের সেন্টিমেন্ট বুঝে রাজনীতি না করলে আওয়ামী লীগের মতোই পরিণতি হতে পারে।

শেখ মুজিবুর রহমান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার আগে এ দেশের জনগণের কাছে জনপ্রিয় ছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতা পরবর্তী তিনি যখন ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন তারপর থেকে তিনি জনপ্রিয়তা হারাতে শুরু করেন। গুড গভর্নেন্স দিতে না পারায় ক্ষমতা গ্রহণের দিন থেকেই শেখ মুজিবুর রহমানের জনপ্রিয়তা নষ্ট হতে শুরু করে। শেখ মুজিবুর রহমান ভালো ভাষণ দিতে পারলেও ভালো শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি। তিনি রাষ্ট্র শাসনের পরিবর্তে রাষ্ট্রের জনগণকে শোষণ করেছেন। বাকশাল কায়েম করে রক্ষীবাহিনী দিয়ে জনগণের ওপর জুলুম নির্যাতন চালিয়েছেন। যার কারণে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনা অভ্যুত্থানে শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হলে মানুষ ইন্না লিল্লাহও পড়েনি। শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর পর তার দলীয় নেতারাও আওয়ামী লীগ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল।

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকির, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ড. আব্দুল মান্নান, মহানগর অফিস সেক্রেটারি কামরুল আহসান হাসান, সহকারী প্রচার সম্পাদক আবদুস সাত্তার সুমন, সহকারী মিডিয়া সম্পাদক আশরাফুল আলম ইমন, সহকারী অফিস সেক্রেটারি মুজিবুর রহমান প্রমুখ।