আমজনতার দলকে নিবন্ধন না দেওয়ায় দলের সদস্য সচিব তারেক রহমানের অনশনের প্রতি সংহতি জানিয়েছে বিএনপি।

বৃহস্পতিবার (০৬ নভেম্বর) বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের মূলক ফটকে এসে এ সংহতির কথা জানান। এখানেই ৫০ ঘণ্টা ধরে অনশন করছেন তারেক।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, তারেকের রাজনৈতিক দল- জনতার দল। নিবন্ধনের জন্য তারা ইতোমধ্যে আবেদন করেছিল। সেই আবেদনটা গ্রাহ্য করা হয়নি। আমি দেখেছি যে আরও গুরুত্বহীন কিছু সংগঠন আমার কাছে মনে হয়েছে তারাও নিবন্ধিত হয়েছে। কিন্তু তাদেরকে দেওয়া হলো না কেন, আমি এটা বুঝতে পারলাম না। তারেক এ দেশের স্বার্থে কথা বলেছে। আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কথা বলেছে। সে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেছে এবং তার বৈধতার জন্য নির্বাচন কমিশনে সে আবেদন করেছে। সে তো কোনো গোপন রাজনৈতিক দল করতে চায়নি। সে আইনসম্মত রাজনৈতিক দল করতে চেয়েছে। যদি তার উদ্দেশ্য খারাপ থাকতো তাহলে গোপন রাজনৈতিক দল করে রাষ্ট্রবিরোধী অনেক কার্যকলাপ করতো...  কিন্তু রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ তো করেইনি বরং রাষ্ট্রের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে, স্বাধীনতার স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে, এই নেতা সে কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, আমি দেখেছি তিনি গলার মধ্যে মোবাইল ঝুলিয়ে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, স্বাধীনতার সাপেক্ষে কথা বলেছেন। এই দেশকে যারা আমাদের অর্থনৈতিকভাবে রাজনৈতিকভাবে সাংস্কৃতিকভাবে আধিপত্য বিস্তার করতে চায় সে আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। আজকে তার নিবন্ধন দেওয়া হচ্ছে না। তাহলে আপনারা কাদের নিবন্ধন দেবেন। আমি জানি না।

বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, কাউকে আমি ছোট করতে চাই না। কিন্তু তার যে চিন্তা এবং তার যে রাজনৈতিক সংগ্রাম এবং কর্মসূচি, সেই অনুযায়ী তিনি যে রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন, সেই রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন অবশ্যই তিনি প্রাপ্য। এবং এই ন্যায়সঙ্গত কারণে যে অনশন করছে, এই অনশন কর্মসূচির প্রতি আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির পক্ষ থেকে পূর্ণ সংহতি জ্ঞাপন করছি। ইতোমধ্যে ইসি তারেককে নিবন্ধন না দেওয়ার কারণ উল্লেখ করে চিঠি দিয়েছে। তবে তারেক সেই চিঠির জবাবে জানিয়েছেন, ইসি বলছে তাদের দুটি জেলা ও ৬৭টি উপজেলা কার্যালয় নেই। কিন্তু আমাদের নিবন্ধনের শর্ত অনুযায়ী সব কার্যালয় রয়েছে। ইসির তদন্ত কর্মকর্তারা সঠিক প্রতিবেদন দেননি।