Logo
×

রাজনীতি

নির্বাচন বিলম্ব বা বাতিলের ষড়যন্ত্র চলছে: খন্দকার মোশাররফ হোসেন

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৯:৫১

নির্বাচন বিলম্ব বা বাতিলের ষড়যন্ত্র চলছে: খন্দকার মোশাররফ হোসেন

 আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত বা বাতিল করার ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর বনানীর শেরাটন হোটেলে ঢাকা ফোরাম ইনিশিয়েটিভ (ডিএফআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ পুনর্কল্পনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আলোচনা সভাটি জয়নুল আবেদীন রচিত ‘তারেক রহমান: পলিসি অ্যান্ড পলিটিক্স’ বই এবং বিবিসিতে দেওয়া তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার বিশ্লেষণকে কেন্দ্র করে আয়োজন করা হয়। ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘আমি হয়তো সৌভাগ্যবান যে, বর্তমান দেশনেতা তারেক রহমানকে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগে শিক্ষকতার সময় ছাত্র হিসেবে পেয়েছি। এরপর দেখেছি তাকে রাজনীতিক হিসেবে, আর এখন দেখছি জাতীয় নেতা হিসেবে।’

তিনি করেন, তারেক রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করলেও একদিনের জন্যও মধুর ক্যান্টিনে বসেননি। ছাত্রদল সেখানে অত্যন্ত প্রভাবশালী থাকা সত্ত্বেও তিনি কোনো ছাত্রনেতার সঙ্গে কখনো চা খেতে বসেননি। এটি ছিল দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশ। কারণ সে সময় একটি প্রচারণা ছিল—কোনো শক্তিশালী দলের বড় নেতার ছেলে ছাত্র রাজনীতিকে কলুষিত করছেন। অথচ জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার সন্তান যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন, তা মানুষ জানেই না।

তারেক রহমান কোনো পদ ছাড়াই রাজনীতিতে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিলেন বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বগুড়ায় বিএনপির এক সম্মেলনে তাকে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তখন তিনি কোনো পদে ছিলেন না। কিন্তু দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ জিয়াউর রহমান ও তারেক রহমানের নামে মিছিল নিয়ে আসছিল। পরবর্তী সময়ে আমি স্থায়ী কমিটির বৈঠকে প্রস্তাব দেই, যেহেতু জনগণ তাকে গ্রহণ করেছে, তাকে পদ দেওয়া উচিত। এরপরই তাকে প্রথম যুগ্ম মহাসচিব করা হয়, পরে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশনেতা তারেক রহমান কোনো পারিবারিক প্রোডাক্ট নন। দেশের জন্য, জনগণের জন্য তিনি রাজনীতি করেন—এ কারণেই তিনি আজকে নেতা।’ তারেক রহমানের ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কার কর্মসূচি প্রসঙ্গে ড. মোশাররফ বলেন, ‘এ অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার অনেক আগেই তিনি ৩১ দফা ঘোষণা করেছিলেন, যা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা, বেগম খালেদা জিয়ার ভিশন ২০৩০ এবং বিএনপির ২৭ দফার সমন্বয়ে তৈরি। তাই সংস্কারের দাবিদার হলে, তিনিই প্রকৃত দাবিদার।’

ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির দীর্ঘ আলোচনার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘সংস্কার কমিশনের সঙ্গে আমরা দীর্ঘদিন মিটিং করেছি, সহযোগিতা করেছি, ছাড়ও দিয়েছি। জুলাই সনদের সঙ্গে ৩১ দফার অনেক মিল আছে। তারেক রহমানই এ সংস্কারের কথা আগে বলেছিলেন- এ রেকর্ড কেউ মুছে দিতে পারবে না। যেমন কেউ মুছে দিতে পারেনি যে মেজর জিয়া এ দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন।’ স্বৈরাচারের বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে যে আমরা নাকি বিচার চাই না। আসলে বিএনপি-ই সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার দল। আমরা চাই বিগত ১৬ বছরে ফ্যাসিস্ট সরকারের অন্যায়, গুম-খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং চব্বিশের জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডসহ সব কিছুর বিচার।’