Logo
×

জাতীয়

‘ইতিহাসের সর্ববৃহৎ জানাজা এটি’

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০:৫৫

‘ইতিহাসের সর্ববৃহৎ জানাজা এটি’

মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে চারপাশে যতদূর চোখ যায়, শুধু মানুষ আর মানুষ। মূল সড়ক থেকে অলি-গলি, কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক সংগ্রামের আপসহীন নেত্রী এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় এমনই জনতার ঢল নেমেছিল। পুরো রাজধানী পরিণত হয় জনসমুদ্রে। জানাজায় অংশ নেওয়া জনসাধারণ বলছেন, এটি ইতিহাসের সর্ববৃহৎ জানাজা। তাদের মতে, এতদিন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জানাজাকে সর্ববৃহৎ বলা হলেও সেই রেকর্ডটাও আজকে ভেঙেছে।

বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে খালেদা জিয়ার জানাজা সম্পন্ন হয়। এরপর জিয়া উদ্যানে স্বামী শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে খালেদা জিয়াকে চিরশায়িত করা হয়।

মিরপুর ২ নম্বর থেকে জানাজা পড়তে এসেছিলেন বৃদ্ধ রবিউল ইসলাম। তিনি  বলেন, আমি জিয়াউর রহমানের জানাজা পড়েছি। আমার মতে, সেটাই এতদিন সর্ববৃহৎ ছিল। কিন্তু আজ সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়েছেন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা। ঢাকা মহানগর তাঁতী দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মো. ইসমাইল বলেন, আমি মনে করি এটাই পৃথিবীর সর্ববৃহৎ জানাজা। এতো লাখ লাখ মানুষের স্রোত আমি আর কখনো দেখিনি। তিনি বলেন, আমি জিয়াউর রহমানের জানাজা পড়েছি। তখন চীন মৈত্রী বা তার আশপাশ এলাকা জলাশয় ছিল, সেখানে মানুষ অবস্থান নিয়েছিল। কিন্তু আজ বিজয় সরণি, রোকেয়া সরণি, সংসদ ভবন এলাকা, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের আশপাশ, ফার্মগেট ও কারওয়ান বাজার পর্যন্ত জনগণ জানাজায় অংশ নেন।

দেওয়ান মো. ইসমাইল স্মৃতিচারণ করে বলেন, ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময়ে আসাদ গেটের ওই পাশে আমার আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে জানাজায় অংশ নেই। আজ তারই সহধর্মিণীর জানাজায় অংশ নিলাম। এটা আমার জন্য সৌভাগ্যের। তবে জনস্রোতই প্রমাণ দিয়েছে—এটা পৃথিবীর সর্ববৃহৎ জানাজা। অংশগ্রহণকারীরা এমন কথা বললেও জানাজায় ঠিক কত সংখ্যক মানুষ অংশ নিয়েছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাও এ বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি।