Logo
×

জাতীয়

দেশে প্রতি তিনজন স্নাতকধারীর একজন দুই বছর পর্যন্ত বেকার থাকেন: বিবিএস

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:১১

দেশে প্রতি তিনজন স্নাতকধারীর একজন দুই বছর পর্যন্ত বেকার থাকেন: বিবিএস

বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে বেকারত্বের চিত্র ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) শ্রমশক্তি জরিপে দেখা গেছে, দেশে বছর প্রতি তিনজন স্নাতক ডিগ্রিধারীর একজন টানা দুই বছর পর্যন্ত চাকরিহীন থাকেন।

তাদের মধ্যে প্রতি সাতজনের একজন এক থেকে দুই বছর ধরে কর্মহীন, আর প্রতি ছয়জনের একজন দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে বেকার ছিলেন। ২০২৪ সালে দেশে মোট বেকারের সংখ্যা ছিল ২৬ লাখ ২৪ হাজার। এর মধ্যে স্নাতকধারী ছিলেন ৮ লাখ ৮৫ হাজার।

চলতি মাসে বিবিএস প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। বিশেষজ্ঞরা একে উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেছেন। তাদের মতে, দীর্ঘমেয়াদি বেকারত্ব তরুণদের কর্মজীবনে স্থায়ী ক্ষত তৈরি করতে পারে। যারা এক থেকে দুই বছরের দেরিতে কর্মজীবন শুরু করেন, তারা পুরো ক্যারিয়ারে পিছিয়ে থাকার ঝুঁকিতে থাকেন।

এই জরিপে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে দেশে মোট বেকারের সংখ্যা ছিল ২৬ লাখ ২৪ হাজার। এর মধ্যে স্নাতকধারী ছিলেন ৮ লাখ ৮৫ হাজার। প্রতিবেদনে চাকরি প্রার্থীরা কীভাবে কাজ খুঁজেছেন এবং সামগ্রিক শ্রমবাজারের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেকার তরুণদের প্রায় ৩৬ শতাংশ চাকরি খোঁজার জন্য আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের ওপর নির্ভর করেছেন। ২৬ শতাংশ বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আবেদন করেছেন। প্রায় ১২ শতাংশ সরাসরি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গিয়েছেন, আর ৯ শতাংশ সরাসরি প্রতিষ্ঠানে আবেদন পাঠিয়েছেন। আরও ৫.৫ শতাংশ বলেছেন বিজ্ঞাপন দেখে আবেদন করবেন কি না তা ঠিক করেন। আর ৩.৫ শতাংশ ওয়াক-ইন ইন্টারভিউর মাধ্যমে চাকরির চেষ্টা করেছেন।

জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার কর্মসংস্থান খাতের সাবেক বিশেষ উপদেষ্টা রিজওয়ানুল ইসলাম একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “এটিই দীর্ঘমেয়াদি বেকারত্ব নামে পরিচিত। ছয় মাস পার হলেই এটি উদ্বেগজনক হয়ে ওঠে। এটি প্রতিভা ও সম্পদের অপচয়। শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও সামাজিক দিক থেকে যেটিকে আমরা সম্পদের অপব্যবহার বা দক্ষতার অপব্যবহার বলি, তা দীর্ঘমেয়াদে আরও বড় সমস্যা। ”

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সিনিয়র গবেষণা ফেলো বদরুন নেসা আহমেদ বলেন, ‘‘দুর্বল শিক্ষার মান এবং প্রশিক্ষিত শিক্ষকের ঘাটতি একটি বড় কারণ। স্নাতকধারীদের ক্ষেত্রে মান অনেক গুরুত্বপূর্ণ, আর মানই আসল পার্থক্য গড়ে দেয়।