Logo
×

অপরাধ ও আইন

হেলিকপ্টার থেকে বোম্বিং করার কথা বলেন শেখ হাসিনা

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৪২

হেলিকপ্টার থেকে বোম্বিং করার কথা বলেন শেখ হাসিনা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দমনে ড্রোন দিয়ে আন্দোলনকারীদের অবস্থান নির্ণয়, হেলিকপ্টার থেকে থেকে বোম্বিং, ছত্রীসেনা নামানো, গুলিবর্ষণ ও মারণাস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুধু তা-ই নয়, আন্দোলনকারীদের রাজাকার ট্যাগ দিয়ে ফাঁসি দেওয়া, ইন্টারনেটসেবা বন্ধ করা, বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন লাগানো এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দমনে ড্রোন দিয়ে আন্দোলনকারীদের অবস্থান নির্ণয়, হেলিকপ্টার থেকে থেকে বোম্বিং, ছত্রীসেনা নামানো, গুলিবর্ষণ ও মারণাস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুধু তা-ই নয়, আন্দোলনকারীদের রাজাকার ট্যাগ দিয়ে ফাঁসি দেওয়া, ইন্টারনেটসেবা বন্ধ করা, বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন লাগানো এবং আন্দোলনকারীদের জঙ্গি ট্যাগ দিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি।আন্দোলনকারীদের জঙ্গি ট্যাগ দিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি।

গত বছর জুলাই-আগস্ট আন্দোলন চলার সময় শেখ হাসিনা এবং তিনজনের মধ্যে আলাদা চারটি ফোনকল রেকর্ডে এসব নির্দেশনার কথা শোনা গেছে। শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গতকাল বুধবার চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১-এ সাক্ষ্যগ্রহণের সময় এসব ফোনকল রেকর্ড বাজানো হয়।

মামলার ৫৩তম সাক্ষী হিসেবে এদিন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন প্রসিকিউটর ও মামলার বিশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তা তানভীর হাসান জোহা। তিনিই ট্রাইব্যুনালে এসব ফোনকল রেকর্ড দাখিল করেন। মামলার অন্য দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। শেখ হাসিনা ও কামালকে পলাতক দেখিয়ে চলছে মামলার বিচারকাজ।

মামুনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে রাখা হয়েছে। তিনি তাঁর দোষ স্বীকার করে মামলায় রাজসাক্ষী হয়েছেন। প্রসিকিউশনে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহা এই মামলায় বিশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এই কাজের ধারাবাহিকতায় গত বছর ২৩ ডিসেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফোনালাপের ৬৯টি অডিও ক্লিপ এবং তিনটি মোবাইল নম্বরের সিডিআর এনটিএমসির সহকারী ইঞ্জিনিয়ার ও প্রশিক্ষক সাদি মোহাম্মদ রিফাতের কাছ থেকে জব্দ করেন বলে সাক্ষ্যে উল্লেখ করেন সাক্ষী।