Logo
×

জেলার খবর

হাদিকে গুলিবর্ষণকারীরা পালিয়েছে কি না, এখনও নিশ্চিত নয়: বিজিবি

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫:৪৬

হাদিকে গুলিবর্ষণকারীরা পালিয়েছে কি না, এখনও নিশ্চিত নয়: বিজিবি

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্ত পথে শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবর্ষণকারীরা পালিয়েছে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ময়মনসিংহ রিজিওয়নের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান৷

তিনি বলেন, হাদির ওপর গুলিবর্ষণকারী ময়মনসিংহ সীমান্ত ব্যবহার করে ভারতে পালিয়ে গেছে কি না তা পুরোপুরি এখনো নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। যদি পাচার হয়ে থাকে তাহলে ফিলিপ স্নাল ভালো বলতে পারবে। ফিলিপ স্নালকে আটক করা গেলে পুরো বিষয় নিশ্চিত হওয়া যাবে। কীভাবে যোগাযোগ হয়েছে, কত টাকা লেনদেন হয়েছে, ওপারে কাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে, আদৌ পাচার হয়েছে কি না তা জানা যাবে। এ ঘটনায় ফিলিপ স্নালকে আটকের জন্য বিজিবি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় ময়মনসিংহ বিজিবির সেক্টর সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। এ সময় লিখিত বক্তব্যে বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকায় ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে বিজিবি সদর দপ্তরের নির্দেশনায় ৩৯ বিজিবি সম্ভাব্য পাচারের রুট গুলি চিহ্নিত করে টহল এবং চেকপোস্ট বসানো হয় সীমান্তের অধিকাংশ স্থানে।

শনিবার পুলিশ এবং বিজিবির সমন্বয়ে যৌথ অপারেশনের প্ল্যান করা হয়। ঢাকা থেকে আগত পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বিজিবি ময়মনসিংহ সেক্টর কমান্ডারের নিয়মিত যোগাযোগ এবং অপারেশন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনার দুইটি স্থানে একসঙ্গে অপারেশনের প্ল্যান করা হয়। সন্দেহভাজন হিসেবে শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে অবস্থানরত ফিলিপ স্নালকে আটকের পরিকল্পনা করা হয়। পুলিশের আরেকটি টিম হালুয়াঘাট এলাকায় অপারেশন প্ল্যান করে। হালুয়াঘাটে অপারেশনের বিষয়ে বিজিবি কর্তৃক সোর্স এবং অন্যান্য বিষয়ে তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করেছে। অপরদিকে নালিতাবাড়ীর বারোমারি এলাকায় অপারেশন পরিচালিত হয় বিজিবির নেতৃত্বে এবং ঢাকা থেকে আগত ও হালুয়াঘাট থানার পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে। কিন্তু ফিলিপ স্নালকে পাওয়া যায়নি। তবে তার স্ত্রী ডেলটা চিরান, শ্বশুর ইয়ারসন রংডি এবং মানব পাচারকারী লুইস লেংমিঞ্জাকে আটক করে বারোমারি বিওপিতে আনা হয়। সেখানে বিজিবি, পুলিশ এবং অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার উপস্থিতিতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এই তিনজনকে পরবর্তীতে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। জব্দ করা হয়েছে ফিলিপ স্নালের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও৷ আজ (সোমবার) ভোরে ফিলিপ স্নালের নিকট আত্মীয় বেঞ্জামিন রিচান (৩০) নামে এক যুবককে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছে। বতর্মানে তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

বিজিবি জানায়, ফিলিপ স্নালের বাড়ি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের ভুটিয়াপাড়া এলাকায়। মানবপাচারে জড়িত চক্রগুলোর কাছ থেকে ফিলিপের সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে তথ্য পাওয়ায় তাকে খোঁজ করা হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে বিজিবির অন্যান্য কর্মকর্তা ছাড়াও স্থানীয় প্রিন্ট, অনলাইন এবং ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।